বাংলাদেশী সংস্কৃতিতে মূর্তি সংস্কৃতি নাই। বাংলাদেশী চেতনাবোধের মাধ্যমেই বাঙালি মুসলমানের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ নিহিত। ঈদুল ফিতর উদযাপন উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ঈদ মিছিলের বিভিন্ন প্রতিকৃতি আমাদের সংস্কৃতিতে অন্তর্ভূক্তি করা হয়েছ। যার নিন্দা জানাই। জুলাই অভ্যাত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে নিরাপদ ও মুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপনের সুযোগ পাওয়ায় মহান আল্লাহ দরবারে শুকরিয়া জানাই।
মুঘল আমলের ঐতিহ্য 'ঈদ মিছিল' ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মুসলমানদের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। দেশে শিশু-কিশোর-যুবক ও সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেছে এতে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দুঃখজনকভাবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ঈদ মিছিলে মূর্তির সমাহার ঈদের মূল শিক্ষার সাথে সাংঘর্ষিক। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ইসলামে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার ইতিহাস না জেনে ঈদ মিছিলে মূর্তি সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি মন্ত্রণালয় ভুল করেছে। ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।
ইসলামের ইতিহাস থেকে আমরা জানতে পারি ইসলাম পূর্বযুগে 'নওরোজ' ও 'মেহেরজান' নামে দু'টি উৎসব পালন করা হত। যা ইসলামী চেতনার পরিপন্থী। পৌত্তলিক সংস্কৃতি থেকে মুক্ত থাকতে রাসূল (সা.) মুসলমানদের জন্য ইসলামে দুটি ঈদের প্রচলন করেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ঈদের মিছিলকে মঙ্গলশোভাযাত্রার মতো মূর্তি সংস্কৃতিতে পরিণত করেছে। ঈদ মুসলিমের জন্য আল্লাহ পক্ষ থেকে পুরস্কার অন্যদিকে ইবাদতও বটে। আনন্দ উল্লাস ও উৎসব হবে ইসলামী চেতনা ও বিধান অক্ষুন্ন রেখে। কোন প্রাণী, মানুষের প্রতিকৃতি, মূর্তি বা ভাস্কর্য তৈরি করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষেধ। ইসলামের মৌলিক বিধান অক্ষুন্ন রেখে ঈদ উদযাপনকে আমাদের জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে হবে। মূর্তি বা ভাষ্কর্য সংস্কৃতি নয়। ইসলামী চেতনার মধ্যেই বাংলাদেশের মুসলমানদের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ নিহিত।
জুলাই গণ অভ্যাত্থানের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশে মুক্ত ও নিরাপদ পরিবেশে ঈদ উদযাপনে ভূমিকা রাখার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদাহ।
ReplyForward |
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন