বিগত ১৮ বছর আওয়ামীলীগ দেশে জাহেলিয়াত কায়েম করেছিল। রাজনৈতিক পরিচয় দেখে মানবতা ও মানবাধিকার নির্ধারণ করা হতো। দেশে সুশীল ও তথাকথিত শিক্ষিতরা জাময়াত-শিবির, বিএনপি-ছাত্রদল পরিচয়ে মারলে এবং মেরে ফেললে তারা খুশি হতো। কেননা বিএনপি-জামায়াতের বাঁচার অধিকার ছিল না।
পারভেজ হত্যা হওয়ার পর সুনশান নীরবতা। তার মানে আমি ভালো আছি সুতরাং কোন সমস্যা নাই। এই মনোভাব ৫ আগষ্টের পরও আমরা পোষণ করছি। যা হওয়ার কথা ছিলনা। পারভেজ ছাত্রদল করতো মরার জন্য এটাই যথেষ্ট। এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে দেশের তথাকথিত সুশীল, তথাকথিত শিক্ষিত ও শান্তিপ্রিয় মানুষরাই।
পারভেজকে নিজ ক্যাম্পাসে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যায় প্রতিবাদ করছে ছাত্রদল! ছাত্রদলকেও জোরালো প্রতিবাদ করতে দেখা গেল না। শুধুমাত্র সংবাদ সম্মেলনে আটকে আছে। অন্যান্য ছাত্র সংগঠন গুলো নিরব নিস্তব্ধতা অবলম্বন করছে। কেননা ছাত্রদলের কর্মী হত্যা হয়েছে আমরা প্রতিবাদ করলে বা বিবৃতি দিলে, না জানি শুদ্ধতা নষ্ট হয় কিনা। একটি বিষয় স্পষ্ট মিডিয়াও সেভাবে সংবাদ প্রচার করছে না। মারামারি বা হত্যা হলে হাসিনার আমলের মিডিয়া বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করতো।
৫ আগষ্টের পর ছাত্রদল তাদের নিজেদের দলীয় কোন্দলে প্রায় ৭০ জনের মত হত্যা হয়েছে। সেই হত্যাগুলো সম্পর্কে দল বা ভিকটিম পরিবার প্রতিবাদী হয়ে ওঠেনি। এই কারণে কি এই নিরবতা? একটি প্রাণ ঝরে যাওয়া কি খুবই সহজ। দলীয় কোন্দলে হত্যা হলে এর বিচার হয় না। দলীয় কোন্দলে হত্যার বিচার না হলে প্রতিবাদ না হওয়ার এই মানসিকতা থেকে যাবে।
দলগতভাবে আমার আর্দশ বা চিন্তার সাথে মিল না থাকুক। অপছন্দ বা ভিন্ন চিন্তা ধারার মানুষ হোক তার অধিকার এর জন্য দাঁড়ানোই গণতন্ত্র। তা না হলে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বা গণতন্ত্র কায়েম হবে না।
৫ আগষ্টের পর এমন রাজনীতি দেখতে চাই, যেখানে দল মতের ভিন্নতা বা রাজনৈতিক ভিন্নতার কারণে হত্যা তো দূরের কথা গায়ে আছড় লাগবে না। ছাত্রদল-শিবির-এনসিপি বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা সংগঠন কেউ কাউকে আক্রমণ করছে বা হত্যা হয়েছে এটি বাংলাদেশে দেখতে চাই না।
পারভেজ হত্যার মুল কারিঘর দুই মেয়ে ও তাদের খুনি বন্ধুদের দ্রুত গ্রেফতার ও যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ায় শাস্তি চাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন