মুহাম্মদ (সা:) এর সংবক্ষীপ্ত জীবনী - Etikathon

Etikathon

দেশ ও সমাজ : আমার চিন্তার বহি:প্রকাশ

Etikathon

test banner

Post Title

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩

মুহাম্মদ (সা:) এর সংবক্ষীপ্ত জীবনী

 

জন্ম : হযরত মুহাম্মদ (সা:)  মক্কার কুরােইশ গ্রোত্রের বনি হাশিম বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম 570 খৃষ্টাব্দে। অবশ্যই মুহাম্মদ (সা:) নিজে তাঁর জন্ম তারিখ নিয়ে কোন মন্তব্য করেন নি। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ এবং মাতার নাম আমিনা। জন্মের পূর্বেই তিনি পিতা হারিয়ে এতিম হন 6 বছর বয়সে মা আমেনা এবং 8 বছর বয়সে দাদা আবদুল মোত্তালিব এর মৃত্যুর পর চাচা আবু তালিব তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। 

শৈশব ও কৈশরকাল: আরবের রীতি ছিল যে সন্তানদের সুস্থ দেহ এবং সুঠাম গড়ন তৈরি করার জন্য জন্মের পর দুধ পান করার জন্য বেদুইন মহিলার কাছে দিতেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর আবার নিয়ে আসতেন। এই অনুসারে মুহাম্মদ (সা:) কে হালিমা বিনতে আবু জুয়াইবেন (হালিমাতুস সাদিয়া) হাতে দিয়ে দেয়া হয়। শিশু মুহাম্মদ (সা:) কেবল হালিমার একটি স্তনই পান করতেন এবং আর একটি তার অপর ভাইয়ের জন্য রাখতেন। হালিমা মুহাম্মদ সা: কে দু্ই পর মা আমিনার কাছে নিয়ে যান

ছয় বছর পূণ হবার পর আমিনা শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে মদীনায় যান। মদীনায় একমাস থাকার পর মক্কায় ফেরার পথে আরওয়া নামক স্থানে এসে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন। মাতার মৃত্যুর পর দাদা আবদুল মোত্তালেব শিশু মুহাম্মদকে নিয়ে মক্কায় পৌঁছেন।মুহাম্মদ (সা:) এর বয়স যখন  বছর তখন তার দাদা আবদুল মোত্তালিবও মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি তার পুত্র আবু তালিবকে মুহাম্মদ সা: এর দায়িত্ব দিয়ে যান।

প্রথম জীবন আরবে বিদ্যমান হিংস্রতাখেয়ানত, প্রতিশোধস্পৃহা দমনে হিলফুল ফুজুল নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। মুহাম্মাদ (সা:) এ সংগেঠনে যোগদান করেন এবং এটাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি বিরাট ভূমিকা রাখেন। মুহাম্মাদ (সা:) এর নির্দিষ্ট কোন পেশা ছিলনা। তিনি বনি সা গোত্রের বকরি চরাতেন। এরপর তিনি ব্যবসায় শুরু করেন।মুহাম্মাদ অল্প সময়ের মধ্যেই একাজে ব্যাপক সফলতা লাভ করেন।এতই খ্যাতি তিনি লাভ করেন যে তার উপাধি হয়ে যায় আল আমিন। মুহাম্মাদ (সা:) এর সুখ্যাতি যখন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ তা অবহিত হয়েই তাকে নিজের ব্যবসার কোজে নিয়োগ দেন। খাদীজা (রা:) মুহাম্মাদ (সা:) সততা  ন্যায় পরায়ণতার ও আমানত দারীতার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এক পর্যায়ে তিনি মুহাম্মাদ (সা:) বিবাহ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন মুহাম্মাদ (সা:) তাঁর চাচাদের সাথে কথা বলে বিয়ের সম্মতি জ্ঞাপন করেন। বিয়ের সময় খাদীজার বয়স ছিল ৪০ আর মুহাম্মাদের বয়স ছিল ২৫।

নবুয়ত প্রাপ্তি : চল্লিশ বছর বয়সে ইসলামের নবী মুহাম্মাদ নবুওয়ত লাভ করেনত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর নবী প্রায়ইমক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন।তাঁর স্ত্রী খাদিজা নিয়মিত তাঁকে খাবার দিয়ে আসতেন।এমনি এক ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিব্রাইল তার কাছে আল্লাহ প্রেরিত ওহী নিয়ে আসেন জিব্রাইল তাঁকে পড়তে বলেনসুরা আলাকে আল্লাহ বলেন,  আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালুযিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেনশিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।’ এরই মাধ্যমেই নবীর নবুয়তি জীবন শুরু হয়।

মক্কী জীবন : গোপন প্রচারইসলাম প্রচার  প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমে তিনি নিজ আত্মীয়-স্বজন  বন্ধু বান্ধবের মাঝেগোপনে ইসলামের বাণী প্রচার শুরু করেন ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি ছিলেন খাদিজা তিন বছর নিরবে দাওয়াত দেন মুহাম্মাদ প্রকাশ্যে ইসলামের দাওয়াত দেন।তিনি পর্বতের দাঁড়িয়ে উচ্ছস্বরে সকলকে বলেন যেআল্লাহ ছাড়া কোন প্রভু বা ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহ্ রাসূল।

দাওয়াতের বিরোধিতা : বিরোধীরা উস্কানীউত্তেজনার আবহ সৃষ্টিঅপপ্রচারকুটতর্কসাহিত্য  অশ্লীল গান বাজনার ফ্রন্ট এরই মধ্যে ইসলামের ইতিহাসে যে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা উমর ইবনুল খাত্তাবের ইসলাম গ্রহণ।নবী সবসময় চাইতেন যেন আবু জেহেল  উমরের মধ্যে যেকোন একজন অন্তত ইসলাম গ্রহণ করেতার ইসলাম গ্রহণ ইসলাম প্রচারকে খানিকটা সহজ করে  এরপর একসময় নবীর চাচা হামযা ইসলাম গ্রহণ করেন। 

তিন বছরের জেলএভাবে ইসলাম যখন শ্লথ গতিতে এগিয়ে চলছে তখন মক্কার কুরাইশরা মুহাম্মাদ (সা:) ও তার অনুসারীসহ গোটা বনু হাশেম গোত্রকে একঘরে  আটক করে।তিন বছর আটক থাকার পর তারা মুক্তি পায়। মুক্তির পরের বছর খুব স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তার স্ত্রী খাদিজা  চাচা আবু তালিব মারা যায়। নিযাতনের তীব্রতায় মক্কা বাদ দিয়ে এবার ইসলাম প্রচারের জন্য তায়েফ যান।কিন্তু সেখানে ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তিনি চূড়ান্ত অপমানক্রোধ  উপহাসের শিকার হন।এমনকি তায়েফের লোকজন তাদের কিশোর-তরুণদেরকে মুহাম্মাদ এর পিছনে লেলিয়ে দেয়তারা ইট-প্রস্তরের আঘাতে নবীকে রক্তাক্ত করে দেয়।


মি
রাজ গমণ: মুহাম্মাদ এক রাতে মক্কায় অবস্থিত মসজিদুল হারাম থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদুল আকসায় যানএই ভ্রমণ ইতিহাসে ইসরা/মি’রাজ নামে পরিচিত। মসজিদুল আকসা থেকে তিনি একটি বিশেষ যানে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

মহান আল্লাহ তায়ালা  কুরআনে নবী (সা:) প্রশংসা ও পবিত্রতা গোষণা করেছেন।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সবশেষ ও সবশ্রেষ্ঠ নবী ও রাসুল হযরত মুহাম্মদ সা: সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী যার প্রশংসা ও পবিত্রতা মহান আল্লাহ নিজে করেছেন।

সুরা ক্বলমে আল্লাহ বলেন, وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٍ নিশ্চয়ই আপনি এক মহান চরিত্রের অধিকারী।(আয়াত 4আল্লাহ বলেন, وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ হে মুহাম্মদ! আমি আপনাকে সমগ্র জগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছি। (সুরা আম্বিয়া, আয়াত 107)

অন্য সুরায় আল্লাহ বলেন, وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِّلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَـٰكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ আমি তো আপনাকে সমগ্র মানবজাতির প্রতি সুসংবাদদাতা ও সর্তককারীরূপে প্রেরণ করেছি।, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তা উপলব্ধি করে না। (সুরা সাবা, আয়াত 28) আল্লাহ বলেন, إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا  আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি অবস্থা ব্যক্তকারীরূপে, সুসংবাদদাতা ও ভয় প্রদর্শনকারীরূপে। (সুরা ফাতাহ, আয়াত 8)

নবী প্রশংসা করে আল্লাহ বলেন, يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا   وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُّنِيرًا وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ بِأَنَّ لَهُم مِّنَ اللَّهِ فَضْلًا كَبِيرًا ‘হে নবী আমি আপনাকে স্বাক্ষীরূপে, সুসংবাদদাতা ও সর্তককারীরূপে প্রেরণ করেছি! এবং আল্লাহর আদেশ ও তাঁর দিকে আহবানকারী এবং উজ্জল প্রদীপরূপে। আপনি মুমিনদের সুসংবাদ দিন তাদের জন্য আল্লাহর নিকট বিরাট অনুগ্রহ রয়েছে।’ (সুরা আহযাব, আয়াত 45-47) সুরা আরাফের 158নং আয়াতে আল্লাহ বলেন, قُلْ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ جَمِيعًا ‘হে মুহাম্মদ ঘোষণা করে দাও, ওহে মানবজাতির! আমি তোমাদের সকলের প্রতি মহান আল্লাহর রসুল।

অন্য সুরায় আল্লাহ বলেন, هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا তিনি (আল্লাহ) যিনি তাঁর রসুলকে পথনির্দেশ ও সত্য ধর্মসহ পাঠিয়েছে, অপর সমস্ত ধর্মের ওপর  ইসলাম ধর্মকে বিজয় দান করেছেন। (সুরা ফাতাহ, আয়াত 28) আল্লাহ বলেন, قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অসুরনণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগেকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাশীল দয়ালু। (সুরা আল ইমরান, আয়াত 31)

আল্লাহ বলেন, مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَمَا غَوَىٰ তোমাদের সঙ্গী বা সাথি বিভ্রান্ত নয় এবং বিপথগামীও নয়। (সুরা নাজম, আয়াত 2) একই সুরায় আল্লাহ বলেন,  وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَىٰ  إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَىٰ  এবং তিনি মনগড়া কথা বলেন না, এটা তো ওহি যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়েছে। (সুরা নাজম, আয়াত 3-4)

আল্লাহ বলেনهُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ তিনি সেই পবিত্র সত্তা, যিনি তাঁর রসুলকে পথনির্দেশ ও সত্য দ্বিনসহ প্রেরণ করেছেন। যাতে তা সব দ্বিনের উপর বিজয়ী হয়। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। (সুরা তাওবা, আয়াত 33) 

আল্লাহ বলেন, عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَىٰ ذُو مِرَّةٍ فَاسْتَوَىٰ তাঁকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী ফেরশতা, সহজাত শক্তিসম্পন্ন সে নিজ আকৃতিতে প্রকাশ পেল। (সুরা নাজম, আয়াত 5-6)
আল্লাহ বলেন আমার রাসুলে অন্তর সর্বময় পবিত্র  مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَىٰ  রাসুলের যা দেখেছেন, তাঁর অন্তর তা অস্বীকার করেনি। (সুরা নাজম, আয়াত 11)
দৃষ্টিশক্তিতে তিনি কখনো বিভ্রান্ত ছিলেন না। আল্লাহ বলেন, مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَمَا طَغَىٰ  তাঁর দৃষ্ট্রি ভ্রম হয়নি, এবং তা লক্ষ্যচ্যুতও হয়নি। (সুরা নাজম, আয়াত 17)
আল্লাহ বলেন, أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ আমি কি আপনার অন্তরকে বা হৃদয়কে প্রশস্ত করিনি। (সুরা ইনশিরাহ, আয়াত 1) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ  আমি আপনাকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি। (সুরা ইনশিরাহ, আয়াত 4)
ভারমুক্ত সম্পর্কে, আল্লাহ বলেন,   وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ আমি অপনাকে ভারমুক্ত করেছি িএবং অপসারণ করেছি, যা ছিল আপনার জন্য কষ্টদায়ক। (সুরা ইনশিরাহ, আয়াত 2)
মানুষ ও মানবতা বিপন্ন হয় এমন কাজে কষ্ট পেতেন। আল্লাহ বলেন, لَقَدْ جَاءَكُمْ رَسُولٌ مِّنْ أَنفُسِكُمْ عَزِيزٌ عَلَيْهِ مَا عَنِتُّمْ حَرِيصٌ عَلَيْكُم بِالْمُؤْمِنِينَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ অবশ্যই তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের কাছে এসেছে একজন রাসুল। তিনি তোমাদের যা বিপন্ন করে তা তার জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনের প্রতি দয়ার্দ্র ও পরম দয়ালু। (সুরা তাওবা, আয়াত 128)
আল্লাহ বলেন, وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন। (সুরা শুরা, আয়াত 52) সুরা বনি ইসরাইলে আল্লাহ বলেন, إِنَّ هَـٰذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ وَيُبَشِّرُ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا كَبِيرًا নিশ্চয়ই এ কুরআন হেদায়াত করে, যে পথের দিকে, যা সুদৃঢ় এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদের সুসংবাদ দেয় এবং তাদের জন্য মহাপুরুষ্কার। ( আয়াত 9)
সুরা আলে ইমরানে  আল্লাহ বলেন, كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ  তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানবজাতির জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দাও, অসৎ কাজে নিষেধ কর এবং আল্লাহর প্রতি অবিচল বিশ্বাস রাখ। (আয়াত 110)
আল্লাহ বলেন, إِنَّ الَّذِينَ يَغُضُّونَ أَصْوَاتَهُمْ عِندَ رَسُولِ اللَّهِ أُولَـٰئِكَ الَّذِينَ امْتَحَنَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ لِلتَّقْوَىٰ ۚ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ عَظِيمٌ যারা নিজেদের কন্ঠস্বরকে নিচু করে আল্লাহ  তাদের অন্তরকে তাকওয়ার জন্য সংশোধিত করেছেন। তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও পুরুষ্কার। (সুরা হুজরাত, আয়াত 3) সুরা ক্বলমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, وَإِنَّكَ لَعَلَىٰ خُلُقٍ عَظِيمٍ আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী) (আয়াত 4) সুরা তালাকে মানব জাতির মুক্তির পথ দেখাতে গিয়ে আল্লাহ বলেন, رَّسُولًا يَتْلُو عَلَيْكُمْ آيَاتِ اللَّهِ مُبَيِّنَاتٍ لِّيُخْرِجَ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنَ الظُّلُمَاتِ إِلَى النُّورِ  একজন রসুল যিনি তোমাদের কাছে আল্লাহর সুষ্পষ্ট  কিতাব বা আয়াত পাঠ করে, যারা মুমিন ও সৎকর্মপরায়ণ তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসেন। (আয়াত 11)
মানব জাতির সঠিক দিক নির্দেশনার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় বান্দা নবী মুহাম্মদ সা: কে এ দুনিয়ায় প্রেরণ করেছেন। তাঁর  সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম চারিত্রিক গুণাবলি দিয়ে মানুষকে হেদায়াত করতে পারেন। মাহে রবিউল আওয়ালে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা:), তাঁর পরিবার ও সাহবি এবং তার অনুসারীদের রহমত বর্ষণ করুন। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here