মাতৃভূমি বাংলাদেশ - Etikathon

Etikathon

দেশ ও সমাজ : আমার চিন্তার বহি:প্রকাশ

Etikathon

test banner

Post Title

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

শনিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৪

মাতৃভূমি বাংলাদেশ

সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামল আমার প্রিয় বাংলাদেশ।এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গউত্তরে পশ্চিমবঙ্গআসাম  মেঘালয়পূর্ব সীমান্তে আসামত্রিপুরা  মিজোরামদক্ষিণ পূর্ব সীমান্তে মিয়ানমারের চিন  রাখাইন রাজ্য এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। গঙ্গা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে দেশের ভূগোলিক এলাকা। এ দেশের মানুষ উষ্ণ আতিথেয়তা সম্পন্ন ও উৎসবমুখর হিসাবে পরিচিত। 

১৭৬৫ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ভূখন্ডটি প্রেসিডেন্সি বাংলার অংশ ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজনের পর ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অঞ্চল পূর্ববাংলা অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তান নাম ‍ছিল। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের অঙ্গরাজ্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত ছিল। পাকিস্তানীদের নানাবিধ রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় প্রায় ১৮ কোটি। যা বিশ্বের ৮ম বৃহত্তম দেশ এবং আয়তনে পৃথিবীর ৯২ তম। বাংলাদেশ বিশ্বের ঘণবসতিপূর্ণ দেশ। দেশের মোট আয়তন ৫৬ হাজার বর্গমাইল।দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষের মাতৃভাষা বাংলা। সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫.২ শতাংশজনবসতি  প্রতি বর্গমাইলে  ২৮৮৯ জন। বাংলাদেশ পৃথিবীর ব-দ্বীপগুলোর একটি। ব-দ্বীপের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে প্রায় ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী। নদী, খাল, জলাভূমি, বিভিন্ন উদ্ভিদ, প্রাণীজগত সুন্দরবন, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, কুমির ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আবাসস্থল। তাছাড়া এখানে রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত।

সাহিত্য, সঙ্গীত, শিল্প ও ইতিহাসসহ বাংলাদেশ সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্যও পরিচিত। লোকসংগীত নৃত্যে, বাউল সঙ্গীত, নজরুল সঙ্গীত, রবীন্দ্রনাথ সঙ্গীত ও ইসলামী সঙ্গীত অন্যতম জনপ্রিয়তার রূপ পরিগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ বিভিন্ন উৎসবের জন্যও বিখ্যাত। যেমন, পহেলা বৈশাখ, বাংলা নববর্ষ, ঈদুল-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আদহা, দুর্গাপূজা ও বড়দিনসহ সারা দেশে অত্যন্ত উৎসাহ ও আনন্দের সহিত পালিত হয়।

গার্মেন্টস রপ্তানি, কৃষি, টেক্সটাইল, চামড়া শিল্প, হিমায়িত চিংড়ি ও রুপালি ইলিশ রপ্তানিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের জিডিপি প্রতি বছর গড়ে ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দারিদ্র্যের মত চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, বাংলার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেছে এবং দারিদ্র্য হ্রাস এবং নারী ও শিশুদের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদের  অববাহিকায় অবস্থিত দেশটিতে প্রায় প্রতি বছর মৌসুমী বন্যা হয়; ঘূর্ণিঝড় হয়।আন্তর্জাতিক মানব সম্পদ উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশ দৃষ্টান্তমূলক অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হলেও এখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। যেমন পরিবারতন্ত্র, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, বিশ্বাায়নের প্রেক্ষাপটে একটি শঙ্কা। তাছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে সামাজিক বিভাজনের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা প্রচলিত হলেও বর্তমানে তা একদলীয় শাসনে পরিণত হয়েছে। ভূরাজনীতির কারণে আন্তর্জাতিক বন্ধুরাষ্ট্রগুলো বিভিন্নভাগে বিভক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা থেকে সৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থায় চলে গেছে।

সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। এখানের মানুষ বন্ধুত্বপূর্ণ ও অতিথী পরায়ন। এদেশের মানুষ সুস্বাদু খাবার ও ভোজনবিলাসী হিসাবেও পরিচিত। দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি করেছে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here