অহিংসা পরম ধর্ম, এটা হল বৌদ্ধ ধর্মের মূলনীতি। গৌতম বুদ্ধ (খ্রিষ্টপূর্ব ৬ শতাব্দীতে) দুনিয়ায় একজন খ্যাতনামা সংস্কারকের গৌরব অর্জন করেন। তিনি সংস্কার ও মুক্তির আবেগে রাজ সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হননি। গৌতম বুদ্ধ যখন ধর্মীয় নেতারূপে আত্মপ্রকাশ করেন তখন তাহার দয়া-দাক্ষিণ্য, প্রেম-ভালবাসার এক অপূর্ব আলো উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছিল। তার ধর্ম মতে হিন্দুয়ানীর ব্রাহ্মণ, শুদ্র, ধনী-দরিদ্র বা বড় ছোটর কোন ভেদা-ভেন ছিল না। বংশ ও জাতির কোন বালাই ছিল না তার ধর্মে। অপরদিকে তিনি সহৃদয়তার প্রবল আবেগে পশু পাখির প্রতি নির্দয় আচরণ বরদাস্ত করতেন না। গৌতমবুদ্ধ ধর্মের পশু পাখি মারা ভক্ষণ করা হারাম। সেই বৌদ্ধ ধর্মে নারীর সম্পর্কে বলেছে, নারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া মানবীয় পবিত্রতার পরিপন্থী। নারীর সাথে মেলামেলা করা যাবে না। তাদের সাথে কোন প্রকার কথা বলা যাবে না। পুরুষের পক্ষে নারী ভয়ঙ্কর বিপদ স্বরূপ।
নারী তার মনোহর কমণীয় অঙ্গদ্বারা পুরুষের বিশ্বাস ধন লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। নারী একটি সশরীরি ছলনা মাত্র। নারী থেকে বাঁচার আত্মরক্ষা কর। ঐতিহাসিক ওয়েস্টার্ক (WEST MARK) বলেন, Women are all the snares which the tempter has spread for man. The most dangerous in woman are embodied all the powers of infatuation which blinded the mind of the world অর্থাৎ মানুষের জন্য প্রলোভন যতগুলি ফাঁস বিস্তার করে রেখেছে তন্মধ্যে নারীই সর্বাপেক্ষা বিপজ্জনক। নারীর মধ্যে সকল মোহিনী শক্তি অঙ্গিভূত হয়ে আছে যা সমস্ত বিশ্বের মনকে অন্ধকরে দেয়। বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা হল নারীর সাথে একত্রে থাকা অপেক্ষা বাঘের মুখে তার খাদ্য হিসেবে যাওয়া বা ঘাতকের তরবারীর নিচে মাথা পেতে দেওয়া বেশি উত্তম। গৌতমবুদ্ধ বিবাহ প্রথার বিরোধী থেকে বিশ্ববাসীকে সংসার ত্যাগ করার ও সন্ন্যাস ব্রতের দিকে আহবান করেছিলেন। ঘোত্র পতি উরুবিল্ল এর মেয়ে মারা গেলে একদিন স্বয়ং গৌতমবুদ্ধ তার কবর খুঁড়ে মেয়েটার কাফনের কাপড় খুলে নিয়ে গেলেন এবং তা নিয়ে জামা বানিয়ে ব্যবহার করলেন।
নারী সম্পর্কে এক বিখ্যাত বৌদ্ধ পন্ডিতের ধারণা ব্যক্ত করতে গিয়ে বেষ্টনী Betony ভার World Religions
বলেছেন, Unfathomably deep like a fish's course in the water is the character of woman robed with many artifices with whom truth is hard to find to whom a lie is like the truth and the truth is like a lie। অর্থাৎ 'পানিতে মাছের গড়ি পথের গভীরতা যেমন নির্ণয় করা সম্ভব নয়। নারীর চরিত্র হল তেমনই নিবিড়। যা বহুবিদ ছলনায় আচ্ছাদিত। তার মধ্যে সত্য পাওয়া দুষ্কর। তার নিকট মিথ্যা সত্য সদৃশ্য এবং সভা মিথ্যাসম। অতএব, উল্লেখিত বিবরণ থেকে একথা সুস্পষ্ট বৌদ্ধ ধর্মে নারীকে শুধুমাত্র সম্মান ও মর্যাদা থেকেই বঞ্চিত করা হয়নি বরং নারীকে অস্তব ব্যক্তি ও বিস্ময়কর ধোঁকাবাজী চরিত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন