নারী : ইয়াহুদী ধর্মে - Etikathon

Etikathon

দেশ ও সমাজ : আমার চিন্তার বহি:প্রকাশ

Etikathon

test banner

Post Title

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নারী : ইয়াহুদী ধর্মে

বনি ইসারইল সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন ও ফিরাউনের অত্যাচার হইতে সংরক্ষণের নিমিত্তে হযরত মুসা আ: প্রেরিত হন। তাঁহারই উপর তাওরাত কিতাব নাযিল হয়। আজকাল যে তাওরাত দেখা যায় তা প্রকৃত তাওরাত নয়। বনি ইসরাইল জাতি এক আজৰ জাতি। উশৃংখল: অন্যায়; অত্যাচার: গোড়ামী; বাড়াবাড়ি যাদের সহজাত স্বভাব বিরক্তিকরণ মনোবৃত্তির পুঁজি হিংসা বিদ্বেষ; অহংকার প্রদর্শন ও নবীদের হত্যা করা তাদের সাধারণ বৈশিষ্ট্য। মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করা তাদের মাঝে বহু প্রচলিত।

বর্তমান তাওরাতে লেখা আছে নারীরা পন্য-দ্রব্যের মত তাদেরকে অবৈধভাবে ক্রয়-বিক্রয় করা যাইবে। তাই ইয়াহুদী ধর্মে প্রাচীনকাল থেকে কন্যা শিশুর বেচা-কেনা করা হত। নারীরা পাপের প্রশ্রবণ, কোন ভাল কাজ করার যোগ্যতা নেই তাদের। ইয়াহুদীদের নির্ভরযোগ্য কিতাব 'আহাদ নামায়ে আতীক’ নামক গ্রন্থে লেখা আছে, নারী সৃষ্টির একমাত্র উদ্দেশ্য পুরুষকে আরাম পরিবেশন করা। ইয়াহুদীদের ধারণা বা একমাত্র বিশ্বাস বিবি হাওয়া আ: এর প্ররোচনায় হযরত আদম আ: গন্দম খেয়েছিলেন। সুতরাং নারী প্রথম হইতেই অন্যায় ও পাপের উসকানী দাত্রী অতএব, সে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক অধিকার হইতে বঞ্চিত থাকিবে।

তাওরাতের হুকুম ছিল দুইজন পুরুষের মধ্যে লড়াই বা ঝগড়া হইলে কোন নারী যদি তার স্বামীর সাহায্যে এগিয়ে আসত তাহলে তা অমার্জনীয় অপরাধ। স্বামীর প্রতি নারীর মমত্ববোধ, হৃদ্যতা, শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালবাসার পুরস্কার স্বরূপ তাহার হাত কাটত। অবশ্যই আজকের দুনিয়ায় ইয়াহুদী জাতি খৃষ্টান জগতের সাথে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে চলার কারণে এবং যুগের স্রোতধারাকে নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়ে নারী সমাজকে সেরকম অবহেলা বা অবজ্ঞা করতে সাহস পায় না।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here