ব্লাড প্রেশার একটি বড় সমস্যা - Etikathon

Etikathon

দেশ ও সমাজ : আমার চিন্তার বহি:প্রকাশ

Etikathon

test banner

Post Title

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

ব্লাড প্রেশার একটি বড় সমস্যা

পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ এখন উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। ডাক্তারগণ উচ্চ রক্তচাপ বললেও সাধারণ মানুষ ব্লাড প্রেশার নামে ডাকে। 
রক্তনালীতে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে হৃৎপিণ্ড মানবদেহের বিভিন্ন অংশে রক্ত প্রবাহ সচল রাখে। রক্তনালী সঙ্কীর্ণ হলে রক্ত প্রবাহের জন্য হৃৎপিণ্ড স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চাপ দিতে হয়। এই বেশি চাপ দেয়াকে উচ্চ রক্তচাপ বলে।

নরমাল রক্তের চাপ ১৩৯/৮৯ থাকে। তবে, আমাদের দেশে সাধারণত ১৪০/৮০ কে নরমাল ধরা হয়। উচ্চ  রক্ত চাপ হলো ১৪০/৯০ মিমি পারদ বা তার উপরে। তিন ধরনের ব্লাড প্রেশার হয়, যেমন, Systolic, Diastolic & Pregnancy. 

৯০ ভাগ রোগীর উচ্চ রক্ত চাপের কারণ খুজে পাওয়া যায় না। ৩০ থেকে ৫০ বছর বয়সে উচ্চ রক্ত চাপ হয়ে থাকে। নারীদের চেয়ে পুরুষ রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ বেশি হয়। গর্ভকালিন সময়, জন্মবিরতিকরণ পিল ও ব্যথানাশক ওষুধ খেলে রক্তচাপ হয়। বংশগত কারণে উচ্চ রক্ত চাপ হয় এবং কিডনির অসুখ হলেও উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। 

উচ্চ রক্ত চাপের কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গের  ক্ষতি হতে পারে। যেমন, স্টোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইল, কিডনি ফেইল, রক্তনালীর দেয়ালে চর্বি জমে রক্ত প্রবাহ বাধা সৃষ্টি করে এবং চোখে ঝাপসা দেখা বা স্ফীত হওয়া ইত্যাদি। 

প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে চিকিৎসকের নিকট গেলে তখন তারা বুঝতে পারেন   তার উচ্চ রক্তচাপ তথা ব্লাড প্রেসার হয়েছে। উচ্চ রক্ত চাপ হল, রোগীর মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, দৃষ্টিশক্তি কমা, মাথা ঝিমঝিম করা, ঘুম কম হওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া এবং নাক দিয়ে হঠাৎ রক্ত পড়া।

উচ্চ রক্ত চাপ নির্নয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। যেমন, S. Urea, S. Electrolytes, S. Creatinine, Blood sugar, Urine R/E, Thyroid function, Lipid profile, ECG, echo, ETT, Chest x-ray, এবং Angiogram.

উচ্চ রক্তচাপ হলে প্রতিদিন প্রেসার মাপার প্রয়োজন নেই। ওষুধ চলাকালে একদিন পর পর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত হলে সপ্তাহে একদিন, পরবর্তীতে দুই সপ্তাহ পর বা মাসে একবার মাপা যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করা যেমন, চিকিৎসকের পরামর্শ মতে ওষুধ খাওয়া, চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া ওষুধ বন্ধ না করা, ওজন কমানো, পরিমিত বিশ্রাম নেয়া, ধূমপান বর্জন করা, অতিরিক্ত লবণ পরিত্যাগ করা, চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন করা, প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা অন্তত সপ্তাহে পাঁচ দিন তাছাড়া প্রচুর শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here